প্রতীকী চিত্র।
বিহার ভোটের উত্তাপ এখনও রয়েছে। তার মাঝে পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রস্তুতির কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। তার অঙ্গ হিসাবে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বুথের ম্যাপিংয়ের কাজকর্ম শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। সে কাজ করতে নির্বাচন সদন থেকে নির্দেশ পৌঁছেছে। আর দ্রুত তা শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সাধারণভাবে ভোট প্রস্তুতির অন্যতম অঙ্গ আইনশৃঙ্খলা ক্ষেত্রে ‘ভালনারেবল’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বুথের হিসাব। এই তকমার মাপকাঠিতে রয়েছে ভোটের দিন বা তার আগে-পরে কোনও অশান্তি হয়েছে কি না, সেই তথ্য। সেই অশান্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ? ওই অশান্তির প্রভাব ভোটের ক্ষেত্রে কতটা পড়েছে—এইসব রয়েছে কমিশনের নির্দেশিত ‘ম্যাপিং’য়ের আওতায়। শেষ কয়েকটি নির্বাচনে কোন বুথে কোথায় বেশি ভোট পড়েছে, কোথায় কম ভোট পড়েছে, সেই হিসাবও জেলা প্রশাসনকে দিতে হবে।
তবে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বুথের হিসাব নিকেশের সঙ্গে জড়িত কর্মকাণ্ডেই শেষ হচ্ছে না কমিশনের নির্দেশিত জেলা প্রশাসনের কাজ। তার সঙ্গে কোন বুথে ভোটারদের জন্য কতটা সুবিধা রয়েছে, তা-ও জানাতে হবে। অর্থাৎ পানীয় জলের ব্যবস্থা কেমন আছে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা বয়স্ক ভোটারদের জন্য র্যাম্প আছে কি না, তা দেখতে হবে। থাকলেও সেগুলির অবস্থা কী? শৌচাগার আছে কি না? এ সব জেনে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট প্রস্তুতও করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
আরও পডুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এ বার কঠোর হচ্ছে তৃণমূলও
এত তড়িঘড়ি করার পিছনে নির্বাচন সদনের দাবি, করোনা আবহের কারণে ভোট প্রস্তুতির কাজ কিছুটা ধাক্কা হয়েছে। কিন্তু হাতে আর সময় নেই। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির নির্বাচন নির্ধারিত সময় করতে হলে প্রস্তুতির সময় ক্রমশ কমছে। তাই দ্রুততার সঙ্গে সব শেষ করতে বলা হয়েছে। কারণ, রাজ্য বা জেলা প্রশাসন থেকে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়। তা সে ভোটারদের বুথের নূন্যতম সুবিধা কেন্দ্রিকই হোক বা আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হোক। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আগামী বছরের রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের প্রস্তুতি সলতে পাকানোই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।