প্রতীকী ছবি।
রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে বাড়ি বাড়ি ছুটলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জের প্রার্থীরা। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রচারের দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচারে মাত্র সাত দিন সময়। কিন্তু এলাকা বিরাট বড়। তাই সভা না করে, বাড়ি বাড়ি ঘুরতে, পথে নামতে দেখা গেল প্রায় সব দলের নেতা-কর্মীদেরই।
এ দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ চা মুখে দিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন সিপিএম প্রার্থী মোদাস্সার হোসেন। সঙ্গে জনা দশেক দলীয় কর্মী। না আছে ফেস্টুন, না লাল ঝান্ডা। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও গঙ্গা ভাঙন ইস্যুকে হাতিয়ার করে রবিবাসরীয় প্রচার সারলেন শমসেরগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী। ভাঙন কবলিত এলাকা প্রতাপগঞ্জ। তাই বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে একটাই কথা মোদাস্সারের। রাজ্য বা কেন্দ্র কারও ভাঙনে গা নেই।
প্রচারে নেই কেন ঝান্ডা? মোদাস্সার বলছেন, “ এটা ঠিক প্রচার নয়। মানুষের পাশে আছি, তা আবারও জানানো। এলাকার কমরেডদের নিয়ে বেরিয়েছি। দু’টো কথা বলছি মানুষের সঙ্গে। শুনছি ভাঙনে দুরবস্থার কথা।”
জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী জানে আলমও বিড়ি শ্রমিকদের মজুরির বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলেছেন বাড়ি বাড়ি প্রচারে। তাতে সাড়াও পেয়েছেন। তবে ভাল সাড়া পেয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের পরে তাঁর পা এখনও ঠিক হয়নি। লাঠি ভরসা করেই তিনিও রবিবার প্রচারে নেমে পড়েছিলেন।
তৃণমূল সকাল ৮টাতেই বেরিয়ে পড়ে ধুলিয়ান শহরে। গঙ্গা পাড়ে কাঞ্চনতলা স্কুলের পাশে ঘাসফুলের ঝান্ডা হাতে হাজির ছিলেন জনা ৭০ কর্মী সমর্থক। তাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান ও শমসেরগঞ্জের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। তৃণমূলের দাবি, জয়ের মার্জিনে শমসেরগঞ্জে তাঁরা এ বার রেকর্ড গড়বেন।