—ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। সোমবার বিধানসভায় তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যে অর্থ খরচ করা হয়েছে, তার থেকে পুজোকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য হয়েছে বহুগুণ বেশি। তাতে উপকৃত হয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী-শিল্পীরা।
পুজোয় কেমন ব্যবসা হয়েছে, সেই হিসাব আগেও এক বার দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মাসেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, পুজোয় ব্যবসা নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি রিপোর্ট রয়েছে। সেই রিপোর্টের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘‘ওদের দেওয়া প্রাথমিক হিসাব, গত বছর দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এ বার তারা বলেছে, সেই পরিমাণ ৭২ হাজার কোটি টাকা।’’ এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা, এ বার ব্যবসার অঙ্ক ৮০-৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার দুর্গাপুজোয় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর বাজার হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। মমতার অভিযোগ, এর থেকেও জিএসটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র!
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই হিসাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথীতে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে অন্তত আট কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই পরিষেবায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন ৬৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে।’’ মমতা জানান, ৫৫টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান, এখন ৯৯ শতাংশ শিশুর জন্ম হাসপাতালে হয়। তা যাতে শীঘ্রই ১০০ শতাংশ হয়, রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির বিষয়টিও সোমবার বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।