শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।
এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের (নবম-দশম) সঙ্গে সোমবার ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার চকারিপ্রার্থীরা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই এই খবর জানা যায়। প্রসঙ্গত, কুণালই চাকরিপ্রার্থীদের তরফে সরকার তথা শিক্ষা দফতেরর সঙ্গে সমন্বয় রাখার কাজ করছেন।
ব্রাত্য ছাড়াও সোমবারের বৈঠকে থাকার কথা শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের। চাকরি প্রার্থীদের দু’জন প্রতিনিধি সেখানে থাকবেন। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে কুণালকেও থাকার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের এসএলএসটি শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও নতুন মামলায় তা আটকে রয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার শূন্যপদও তৈরি করেছিল। এ ব্যাপারটি গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনার কাজটি করেছিলেন কুণালই। কিন্তু আইনি জটে নিয়োগ কার্যকর হয়নি।
পর্ষদও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এই প্যানেল বৈধ। এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘রেকমেন্ডেশন (সুপারিশ) পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে, যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ কুণাল আরও বলেছিলেন, ‘‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। আমি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে গেলে তাঁরা ডেপুটেশন (স্মারকলিপি) দেন। তা আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হোয়াটস্অ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’ কুণাল এর আগে মামলার বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।