ফাইল চিত্র।
রাজ্যে স্নাতক স্তরে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া আগামিকাল, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। তার আগে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আশ্বাস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। তাই ভর্তির সমস্যা হবে না। আরও দাবি, ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তাঁরা বিষয়টি দেখবেন।
অতিমারির কারণে, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক-সহ সর্বভারতীয় বোর্ডগুলির দ্বাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা হয়নি। বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকে এ বার সকলেই উত্তীর্ণ। কিন্তু উপরের দিকের গ্রেড পেয়ে পাশের হার তুলনামূলক কম। আইএসসি এবং সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষায় এ বার পাশের হারে রেকর্ড হয়েছে। ৮০% থেকে ১০০% নম্বর পাওয়া পড়ুয়াও প্রচুর। প্রশ্ন উঠেছে, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়ারা কলকাতার তথাকথিত নামকরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতকস্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়বেন কি?
উচ্চশিক্ষা দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে রয়েছে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার আসন। প্রতি বছরই সেই আসনের ৮% থেকে ২২% ফাঁকা থাকে। আসন ফাঁকা থেকে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, লেডি ব্রেবোর্ন এবং আশুতোষ কলেজের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। তাই উদ্বেগের কারণ নেই বলেই শিক্ষা দফতরের দাবি।
এ দিন জাতীয় শিক্ষানীতিকে কেন্দ্রের ‘তুঘলকি কাণ্ড কারখানা’ বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, শিক্ষা যুগ্ম তালিকাভুক্ত। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে কেন্দ্র তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী যেমন সব সময় আলোচনার বদলে একতরফা বক্তব্য দিতে পছন্দ করেন, শিক্ষা নীতিতেও তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্র শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করছে বলেও তাঁর দাবি।
জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানাতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র এমফিল তুলে দিচ্ছে। জাতীয় বৃত্তি পোর্টাল তুলে দেওয়া হচ্ছে। বুনিয়াদি শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় আশ্বাস নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।