—প্রতীকী ছবি।
অতিমারিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সর্বস্তরের শিক্ষায়তনে স্বাস্থ্যবিধি রূপায়ণের প্রস্তুতি চলছে বলে কিছু দিন আগে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। রবিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাব্য সময়সীমা আরও কিছুটা নির্দিষ্ট করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারিতে কিছু ক্লাস খোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পরের মাসে বিশেষ করে স্কুলের উঁচু শ্রেণি এবং কলেজের পঠনপাঠন চালু করা যায় কি না, সেই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘স্কুল ও কলেজে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ চলছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে আপাতত উঁচু ক্লাসই খুলবে। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার আগে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করা যায় কি না এবং ফেব্রুয়ারিতে কলেজ খোলা যায় কি না, সেই বিষয়ে উচ্চ স্তরে পর্যালোচনা চলছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবম শ্রেণি থেকে
পঠনপাঠন চালু করা যায় কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও। তবে বিচার-বিবেচনা চলছে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েই।’’
রাজ্য জুড়ে শিক্ষক মহল, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের এখন একটাই প্রশ্ন, স্কুল কবে খুলবে? স্কুল খোলার জন্য শিক্ষা দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছে বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন। ইতিমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার সূচিও প্রকাশ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই সূচি অনুযায়ী স্কুলগুলিকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে হবে মার্চের ১০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে। সংসদ জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর ও উত্তরপত্র তাদের দফতরে জমা দিতে হবে। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার বিষয় কী হবে, তা পাওয়া যাবে সংসদের ওয়েবসাইটে। শিক্ষক শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, সংসদ প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার বিষয় জানিয়ে দিচ্ছে অথচ প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার অনুমতি দিচ্ছে না কেন? কয়েকটি স্কুল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তারা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে কিছু ছাত্র এনে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার পরিকল্পনা করছে।
কলেজ খোলার দাবিতেও সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। তাদের অভিযোগ, ডিসেম্বরে এক বার কলেজ খোলার কথা বলা হলেও পরে এই নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্যই নেই।