সেহগাল হোসেন। ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে জেরা করতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। সেহগাল এখন অনুব্রতর মতোই আসানসোলের জেলে। ইডি-র একটি সূত্রের দাবি, সেহগালকে হেফাজতে নিতে ইডি দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। ছাড়পত্র মিললে জেরার জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। এরপরে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য পদক্ষেপ করবে ইডি।
সিবিআই দাবি করেছিল, সেহগাল ও তাঁর পরিবারের নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। ইডি সূত্রের দাবি, শুধু অনুব্রত ও সেহগাল নয়, গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে পৌঁছেছে। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি-ও এ বিষয়ে তদন্ত করছে। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে একাধিক ভুঁইফোঁড় সংস্থার খোঁজ মেলায় গরু পাচার থেকে আয়ের কালো টাকা কী ভাবে সাদা করা হয়েছে, তা নিয়ে ইডি তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, এর সঙ্গে আর্থিক নয়ছয়ের অপরাধ জড়িত। ২০১৫ থেকে ২০১৭-র মধ্যে বীরভূমে গরু পাচার, অনুব্রত মণ্ডলের উত্থান, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের মুর্শিদাবাদে নিয়োগের সঙ্গে টাকার লেনদেনের যোগসূত্র ইডি খতিয়ে দেখছে।
এ দিকে,আজ কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে রাজ্যের আইপিএস সেলভা মুরুগানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মুরুগান পুরুলিয়ার এসপি থাকার সময় কয়লা পাচারে পুলিশের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ নিয়ে ইডি-র তদন্তকারীরা তাঁকে প্রশ্ন করেছেন বলে সূত্রের খবর।