অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইডি বনাম অভিষেক মামলায় ইডির পক্ষে রায় দিল আদালত। শুক্রবার তদন্তকারী তিন ইডি কর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে তাঁদের কলকাতা পুলিশের কাছে যেতে হবে না। ইডির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিম্ন আদালতে মামলা করেছিলেন তিন ইডি কর্তার বিরুদ্ধে। দু’বছর আগের একটি ঘটনার সূত্র ধরে তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুরোধও করেছিলেন আদালতে। শুক্রবার অভিষেকের সেই মামলাটি ধাক্কা খেল উচ্চ আদালতে।
ইডি-র কর্তারা অভিষেকের মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চ তাঁদের জানিয়ে দেয় আপাতত জুলাই মাস পর্যন্ত কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ জুলাই পর্যন্ত অভিষেকের করা মামলায় স্থগিতাদেশ থাকছে।
পশ্চিম বর্ধমানে বেআইনি কয়লা খাদানের তদন্তে ২০২১ সাল থেকে অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তারা সাত বার তলব করে। জেরা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এর মধ্যেই ২০২১ সালে একটি জাতীয় সংবাদ চ্যানেলে প্রকাশিত হয় অভিষেককে নিয়ে ইডির এক কর্তা এবং কলকাতার এক ব্যবসায়ীর কথোপকথন। অডিয়ো বার্তাটিতে তাঁদের বলতে শোনা যায়, কয়লা খাদানের জন্য টাকা আসে অভিষেকের কাছে। ওই অডিয়ো বার্তাটি নিয়েই অভিষেক পাল্টা মামলা করেন ইডির বিরুদ্ধে।
অভিষেকের অভিযোগ ছিল, তাঁর সম্মানহানি করার জন্য ইচ্ছে করে ওই অডিয়ো বার্তা তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে। এই মর্মে ইডির কর্তাদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুরোধও করেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ। যদিও অভিষেকের মামলা প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী এমভি রাজু আদালতকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই তদন্তে বাধা দিতেই এখন ইডি অফিসারদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।