অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলকে আরও সপ্তাহ দুয়েকের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করতে চলেছে ইডি। ইডি-র হেফাজতে অনুব্রতের তিন দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামিকাল। সূত্রের খবর, এই তিন দিনের মধ্যে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁকে এখনও বিস্তারিত ভাবে জেরা করা বাকি। গরু পাচারের বেআইনি আয়ের টাকা কোথায় গেল, তার অধিকাংশ বিষয়েই এখনও প্রশ্ন করা যায়নি। তাই শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আরও এক দফায় অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে চলেছে ইডি।
ইডি সূত্রের বক্তব্য, গরু পাচার মামলায় তাদের হাতে যে নথি এসেছে তার ভিত্তিতে অনুব্রতকে বিস্তারিত ভাবে জেরা করা দরকার। তা ছাড়া, গরু পাচার চক্রের ‘মাথা’ এনামুল হক, দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন ও মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য ও নথি পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেও অনুব্রতকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে। বিশেষ করে অনুব্রতের বিপুল সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা নথি দেখিয়ে প্রশ্ন করা হবে। তেমনই গরু পাচারের টাকা কোন রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে পাঠানো হয়েছিল সেই রহস্যের জট খুলতে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকেরা।
এ দিকে আজ আদালতের নির্দেশমতো অনুব্রতকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার সময়ে অনুব্রত চিকিৎসকদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা জানান। পরীক্ষার শেষে চিকিৎসকেরা অনুব্রতকে ‘ফিট’ বলে ঘোষণা করেন। তবে জেরার মধ্যে অনুব্রত অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হবে সেই বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাকে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের সূত্রে খবর, শুক্রবার আদালতে পেশ করে হলে বীরভূমের ওই নেতার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি জানানো হবে আদালতকে। আজ রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের সামনে ‘অনুব্রত চোর’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান দিল্লির বাঙালি বিজেপি সমর্থকদের একাংশ।
অনুব্রত ইডি হেফাজতে থাকলেও, আদালত অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীকে দিনে এক বার একান্তে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন। ইডি সূত্রে খবর, আজ অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। আজ যখন অনুব্রতকে ইডি জেরা করে, তখন ইডির দফতরে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও অনুব্রতকে কী জেরা করা হয়েছে, তা তাঁর আইনজীবীকে শুনতে দেওয়া হয়নি। আজ অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন বলেন, ‘‘আধ ঘণ্টার জন্য দেখা হয়েছে। তবে ওঁর শরীর ভাল রয়েছে।’’