জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। ফাইল চিত্র।
বীরভূমের পর এ বার মুর্শিদাবাদেও ইডি ও সিবিআইয়ের নজর পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে কয়েকটি সূত্রে। এই সূত্রগুলির দাবি, মুর্শিদাবাদের দুই তৃণমূল বিধায়ককে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এই দু’জনই জানিয়েছেন, এমন কোনও ‘ডাক’ তাঁরা পাননি। এঁদের এক জন সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘কেউ আমাকে ডেকে পাঠায়নি। তা ছাড়া এমন কিছু করিনি যে, ইডি আমায় ডাকতে পারে।” দ্বিতীয় জন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও চিঠি বা নোটিস তিনি পাননি। সম্প্রতি পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ায় জাকির অসুস্থও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কলকাতা থেকে জেলায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন।
তৃণমূলের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘যে দু’জনের নাম ছড়াচ্ছে, দু’জনেই বড় শিল্পপতি। তাঁদের হেনস্থা করে তৃণমূলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’
সূত্রের দাবি, গরু পাচারের তদন্তেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ বার মুর্শিদাবাদে অভিযান শুরু করছে। মুর্শিদাবাদ জেলা দিয়ে এক সময় দেদার গরু পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সব থেকে বেশি গরু পাচার হত জঙ্গিপুর ও সুতির পথ ধরে। বার বার দাবি উঠেছে, এই দুই থানা এলাকায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাসক দলের নেতা, কর্মরত পুলিশ অফিসারদের সকলের বিষয় সম্পত্তি খতিয়ে দেখার।
সুতি ২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “ইডি ও সিবিআইয়ের ডাক যে সুতির শাসক দলের কিছু নেতা পাবেন, এ তো জানা কথা। তাঁরা গ্রেফতার হলেও আশ্চর্য হবেন না সুতির মানুষ।” তৃণমূলের সাংসদ আবু তাহের বলেন, ‘‘তৃণমূলকে যেন তেন প্রকারে ছোট করার চেষ্টা হচ্ছে। সেই জন্য ইডি-সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’’