নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আগেই জেরা করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র দফতরে গিয়ে দেখা করার কথা মেয়র-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের।
এর মধ্যেই বুধবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন মেয়রের শ্যালক ও সহযোগী শুভাশিস দাসও। শুভাশিসের সঙ্গে এ দিন জেরা করা হয় মেয়রের অন্যতম সহযোগী দিলীপ সাহা ওরফে ছোটকা-কেও।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টিং অপারেশনে টাকা নেওয়ার কথা মেয়র অস্বীকার তো করেছেনই। সেই সঙ্গে বলেছেন, তিনি নাকি ওই অপারেশনের হোতা ম্যাথু স্যামুয়েলকে চেনেনই না! এই অবস্থায় তাঁর স্ত্রী, শ্যালক এবং অন্য সহযোগীদের জেরা করে মেয়রের বিষয়সম্পত্তির হদিস পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই এ দিন শুভাশিস ও দিলীপকে সল্টলেকে ইডি-র দফতরে ডেকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা হয়। দিলীপ মেয়রের টাকাপয়সার হিসেবপত্রের ব্যাপারে অনেক তথ্য জানেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
মেয়র-পত্নী রত্নাদেবীকে অনেক আগেই তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় এত দিন হাজিরা দিতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। এ বার ইডি-র মুখোমুখি হবেন। মেয়রের বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। তবে জেরার মুখে মেয়র জানিয়েছেন, তাঁর টাকার হিসেব রাখেন রত্নাদেবীই। সেই জন্য মেয়র-ঘরনিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।