সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ফাইল চিত্র।
নারদ মামলায় অভিযুক্ত তিন বিধায়ককে ডেকে পাঠানোর জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রাজ্য বিধানসভায় আদালতের সমন পাঠাল। তবে এই কাজের দায়িত্ব তাদের কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। প্রাথমিক আলোচনার পরে এই প্রশ্ন যথার্থ বলেই মনে করা হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, এই মর্মে বিধানসভার তরফে সমনের বিষয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নারদ-কাণ্ডে ইডি-র চার্জশিট নিয়ে আগে থেকেই রাজনৈতিক স্তরে চাপান-উতোর চলছে। এ বার ওই মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক মদন মিত্রের নামে সমন জারি করেছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ওই তিন জনের নামে জারি করা সেই সমন বিধানসভার মাধ্যমে তাঁদের কাছে পাঠাতে চেয়েছে আদালত। আর তাতেই আপত্তি তোলা হয়েছে বিধানসভার তরফে।
মঙ্গলবার ওই সমনের চিঠি পৌঁছয় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। স্পিকার তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার নিয়মবিধিতে দেখেছি, এই সমন পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা তা করছি না।’’
তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, "আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উল্লেখ করা জায়গায় সমন পাঠানো হয়েছে। যদি কোনও বিষয়ে আপত্তি ওঠে, তা আদালতকে জানাবেন সংশ্লিষ্ট সংস্থা অথবা ব্যক্তি। তার পরে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নেই।"
নারদ মামলায় আগেই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সম্প্রতি চার্জশিট (ইডি-র পরিভাষায় ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’) জমা দিয়েছে ইডি। দ্বিতীয় চার্জশিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত বিধানসভার সদস্য সুব্রত, ফিরহাদ ও মদনের নামে সমন পাঠিয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত অন্য দু’জন— প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে সরাসরি সমন পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইডি। ইডি জানিয়েছে, নারদ মামলায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রাক্তন বিধায়ক ইকবাল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।