ED

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আবার মানিক-যোগ! তাপসের পর বিভাস, ফ্ল্যাট সিল করল ইডি

ইডি সূত্রের খবর, বিভাস একটি বিএড কলেজ চালাতেন। সেখানে মোটা টাকার বিনিময়ে পড়ুয়ারা ভর্তি হতেন। চাকরিপ্রার্থীদের নিশ্চিত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৫৯
Share:

বিভাসের সিল করা ফ্ল্যাট (বাম দিকে)। ডান দিকে ওই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের বোর্ড। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে শনিবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৮, ডাক্তার কার্তিক বোস লেনের একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেটি সিল করে দেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাটটির মালিক বিভাস অধিকারী। বিভাসের এক প্রতিবেশী রাধা মোদক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটটিতে অ়জ্ঞাতপরিচয় মানুষজনের আনাগোনা ছিল। ফ্ল্যাটে যাঁরা আসতেন, তাঁরা মূলত রাতের দিকে আসতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, খুব বড় বড় ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাটে আসতেন বিভাস। বিভাসের সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা থাকত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, বিভাস একটি বিএড কলেজ চালাতেন। সেখানে মোটা টাকার বিনিময়ে পড়ুয়ারা ভর্তি হতেন। চাকরিপ্রার্থীদের নিশ্চিত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হত। ঘটনাচক্রে, কার্তিক বোস লেনের ফ্ল্যাটটির বাইরে একটি বোর্ড লাগানো আছে। সেই বোর্ডে লেখা আছে, ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’। ইডির দাবি, এই প্রতিষ্ঠানটি চালাতেন বিভাস। সংস্থাটির রেজিস্টার্ড নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বোর্ডে। রেজিস্টার্ড অফিসের ঠিকানা এপিসি রোড, আইডিয়াল হাইট ব্লক। এই ঠিকানাতেও শনিবার হানা দেন ইডি আধিকারিকরা।

ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, বিভাসের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের যোগাযোগ ছিল। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে বিভাস সাহায্য করতেন বলে দাবি ইডির। শনিবার সকালেই মহিষবাথানের একটি ট্রেনিং সেন্টারের অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এর পর ইডি আধিকারিকরা শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের একটি বাড়িতে হানা দেন। ইডি সূত্রের খবর, ওই বহুতলের মালিক শৈবাল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে জনৈক তাপস মণ্ডল ১৯৯২-৯৩ সালে মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। পরে একটি ঝামেলার কারণে তাঁকে সেই বাড়ি থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইডি মনে করছে এই একই নামের মহিষবাথানের ট্রেনিং সেন্টারটির মালিকও এই তাপস মণ্ডলই। শনিবার শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের বাড়ির মালিক জানতে পারেন, একাধিক জায়গায় নিজের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ওই বাড়ির নাম করতেন তাপস। সেই সূত্রেই শনিবার ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। বারাসতে তাপস মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। বারাসতের আর এক বাসিন্দা চন্দন মাইতির বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। এঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement