(বাঁ দিকে) মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য এবং মানিক ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই টাকা নয়ছয় করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। আদালতে এমনটাই জানাল ইডি। তাঁকে সরাসরি সুবিধাভোগী বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি জানিয়েছে, শৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়োগ দুর্নীতির প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঢুকেছে।
কলকাতা হাই কোর্টে শৌভিকের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আদালতে জানায়, তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়োগ দুর্নীতির দু’কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। পার্থের মতোই ক্লাব খুলে তিনি টাকা নয়ছয় করেছেন। স্কুলের মাধ্যমেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, নিয়োগ মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তের গতি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শৌভিকের জামিন মঞ্জুর হওয়া উচিত নয়।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। ওই দিন শৌভিকের আইনজীবী সওয়াল করবেন।
নিয়োগ মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং পুত্র শৌভিক আত্মসমর্পণ করেছিলেন। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ইডি তাঁদের গ্রেফতার করেনি। শতরূপা জামিন পেয়ে গিয়েছেন আগেই। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চই জানিয়েছিল, ‘‘মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না আদালত।’’ জামিন দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, শতরূপা যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নিয়েছিলেন সেই প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি। প্রথম বার সমন পেয়েই তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। তা হলে শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দিন তাঁকে কেন আটক করা হল? যদি প্রমাণ থেকেই থাকে তবে প্রথমেই তাঁকে কেন গ্রেফতার করল না ইডি? এই যুক্তিতে শতরূপাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।