গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
গরুপাচার-কাণ্ডে কলকাতায় এনামুল হকের দু’টি অফিসে চল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার সকালে মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি বহুতলে পৌঁছয় ইডি-এর একটি দল। ওই বহুতলে এনামুলের অফিস রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। ইডি তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। সে সব খতিয়ে দেখে গরুপাচার-কাণ্ডে নতুন তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।
সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে কয়লাপাচার-কাণ্ডে তল্লাশি চলছে। একই সঙ্গে গরুপাচারের মামলাতেও অভিযানে নেমেছে ইডি। আর্থিক তছরুপে এই দু’টি ঘটনাতে ইতিমধ্যেই ‘মাথা’দের খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। এ বার আসরে ইডি। কয়লা এবং গরুপাচারের ঘটনায় তদন্তে নেমে বেশ কিছু নাম পেয়েছে কেন্দ্রীয় এই দুই তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা দু’টি মামলাতেই অভিযুক্ত। এনামুল গ্রেফতার হলেও, অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও ফেরার।
এনামূলের সঙ্গে যোগসাযোশের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। বিএসএফের অনেকেই এই কাণ্ডে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে কয়লাপাচারে লালাকে সাহায্য করেছেন কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)-র অনেকে। সিবিআই যেমন ষড়যন্ত্রের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, তেমনই আর্থিক তছরুপের গভীরে পৌঁছতে চাইছে ইডি। সে কারণেই এনামুলের বিভিন্ন অফিস থেকে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: স্বামীজির জন্মদিনে কলকাতার পথে মিছিলের দ্বৈরথে শুভেন্দু-অভিষেক