রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি। — ফাইল চিত্র।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে মঙ্গলবার ভোরে ফের অভিযানে ইডি। এ বারও সেই বসিরহাটেই। মঙ্গলবার ভোরে বসিরহাটে বারিক বিশ্বাস নামে এক চালকল মালিকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘ঘনিষ্ঠ’। বসিরহাটের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি, চালকল, অফিস-সহ মোট দশটি জায়গায় ইডির তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অভিযান চলছে বারিক বিশ্বাসের রাজারহাটের ফ্ল্যাটেও।
এর পাশাপাশি দেগঙ্গায় রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অপর অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের আত্মীয় মুকুল রহমানেও বাড়িতেও অভিযানে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনি সম্পর্কে এলাকায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমানের দাদা। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও পৌঁছে গিয়েছে ইডির তদন্তকারী দল। সেখানে তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ভাই জাহাঙ্গির আলমের বাড়িতে সকাল থেকে চলছে ইডির অভিযান।
প্রসঙ্গত, এর আগে জ্যোতিপ্রিয় ‘ঘনিষ্ঠ’ আরও এক চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থেকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের বাড়িতেও প্রথমে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়েই ‘আক্রান্ত’ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। এ বার প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ আরও এক চালকল মালিকের বাড়িতে এবং চালকলে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় যে বিপুল পরিমাণ টাকার তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে, সেই টাকার সঙ্গে বারিকের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতির ‘কালো’ টাকা বিভিন্ন ঘুরপথে ‘সাদা’ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই ব্যক্তির কোনও মদত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। সূত্রের খবর, বারিকের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি ও অন্যান্য ব্যবসায়িক কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারী দল।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য, ভোর ৫টে থেকে দুপুর ২টো ২০ মিনিট পর্যন্ত তল্লাশি চালানোর পর বারিক বিশ্বাসের বসিরহাটের বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে তাঁর চালকলে এখনও রয়েছে ইডির টিম।