ফাইল ছবি।
সকাল থেকেই ইডির তদন্তকারীরা রাজ্যের অন্তত ১৩টি জায়গায় হানা দেন। সন্ধ্যায় ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছন টালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনে। সেখানেই একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২০ কোটি টাকা। সঙ্গে পাওয়া যায় ২০টি মোবাইল ফোন। ইডির দাবি, ওই ফ্ল্যাটটি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের।
কী ভাবে চলল অভিযান?
ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের সাত জনের একটি দল সরকারি গাড়িতে টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনে যান। গাড়ি থেকে নেমে সোজা আবাসনে ঢুকে যান তদন্তকারীরা। সাত জনের দলে ছিলেন দু’জন মহিলা আধিকারিকও।
অর্পিতার দোতলার ফ্ল্যাটে এর পর ঢুকে পড়েন আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সূত্রটির মতে, ওই ফ্ল্যাটে তিনটি ঘর। তার মধ্যে একটি ঘর বন্ধ। অন্য একটি ঘরে থাকেন অর্পিতা। তদন্তকারীরা সেই ঘরে ঢুকে দেখেন, ঘরের পাশেই রয়েছে একটি ওয়ারড্রোব। কিন্তু সেটি বন্ধ অবস্থায়। ইডির আধিকারিকরা ওয়ারড্রোব খুলতে বলেন অর্পিতাকে। অর্পিতা ওয়ারড্রোবের পাল্লা খুলতেই দেখা যায় তাতে রয়েছে দু’টি বস্তা।
ইডির ওই সূত্রটির দাবি, বস্তা খুলতেই দেখা যায় তাতে ভরা রয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সবই দু’হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোট। ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে এর পর পাওয়া যায় ২০টি আইফোন। ইডি তাদের প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে তারা মনে করছেন।