—ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে স্বচ্ছন্দেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। শুক্রবার এই যুক্তি দেখিয়েই ‘কাকু’র জামিনের বিরোধিতা করল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, ‘কাকু’ শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ, এ কথা বলা যায় না। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সওয়াল করতে গিয়ে দাবি করেন, একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে নিজের কেবিনের সোফায় বসে গল্প করছেন ‘কাকু’! অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলছেন না। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর যে তাঁদের ভরসা নেই, সে কথাও জানান ফিরোজ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ ডিসেম্বর।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে ‘কাকু’র জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী কিশোর দত্ত। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে চাওয়া হয় জামিন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে কিশোর আদালতে জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর মক্কেলের হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার পর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। বমিও হয়। তাই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সব মেডিক্যাল রিপোর্টে রয়েছে। ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করে ইডির দাবি, এসএসকেএমের মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্টেও কারসাজি করা হয়ে থাকতে পারে। অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরিষ্কার হবে।
সুজয়কৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করে ইডির যুক্তি, এই মামলায় শুধুমাত্র অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর হওয়া উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হোক। সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, নিজেদের বক্তব্যের একটি তালিকা করে আদালতে পেশ করুক ইডি। সেখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেই এই মামলার শুনানি হবে।