—ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। গত শুক্রবার সকালে সেই ঘটনার পর রাতে বনগাঁতেও প্রায়ই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। পুলিশ সুপারকে জানানোর পরেও কী ভাবে আধিকারিকদের উপর হামলা হল, তা নিয়ে পুলিশকে বিঁধে বিবৃতি জারি করল ইডি। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনাতেও পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। সেই ঘটনায় তিন আধিকারিক জখমও হয়েছেন। একই সঙ্গে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ইডির আধিকারিকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। দাবি, তাঁরা তৃণমূল নেতা শঙ্করেরই অনুগামী। অভিযোগ, ওই সময় ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটপাটকেল ছোড়া। পাল্টা জওয়ানেরাও লাঠিচার্জ করেন। এমনকি তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়েও তাড়া করতে দেখা যায়। পরে বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বনগাঁ ও সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকেই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশ। সোমবার প্রেস বিবৃতিতে ইডি দাবি করেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে ইমেল মারফত বনগাঁর পুলিশকে তল্লাশি অভিযানের ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। এর পর বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়। ইডি আধিকারিকদের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া হয় তাঁদের কাছে। কিন্তু তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয় এবং পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনগাঁ থানায় ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডেও ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে ইডি।