ED attacked in West Bengal

ইডির সামনে মারমুখী শঙ্কর আঢ্যের অনুগামীরা! বনগাঁর ঘটনাতেও আইনি পদক্ষেপের পথে কেন্দ্রীয় সংস্থা

সন্দেশখালির মতো বনগাঁর তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়েও বাধা পান ইডি আধিকারিকেরা। তাঁদের সামনে মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন এলাকার অনেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা। গাড়িতে তোলা হচ্ছে শঙ্করকে (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

সন্দেশখালির পর বনগাঁতেও ইডিকে দেখে মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন এক দল যুবক। রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সেই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটছে ইডি। পুলিশের কাছে দায়ের করা হবে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বনগাঁয় তাঁর বাড়ির সামনে থেকে যখন শঙ্করকে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, আশপাশে অনেকে জড়ো হন। মহিলারাও ছিলেন সেই দলে। তাঁরা ইডির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইডির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা বিক্ষোভকারীদের আটকাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। রাস্তা ফাঁকা করার পরেই এগোয় শঙ্করের গাড়ি।

ইডি সূত্রে খবর, এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। তারই তোড়জোড় চলছে। যদিও বনগাঁয় কোনও ইডি আধিকারিকের আঘাত লাগেনি। তবে সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটতে পারত সেখানেও। সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল শুক্রবার রাতে।

Advertisement

ইডিকে বাধা দিতে সামনে এগিয়ে এসেছিলেন এলাকার মহিলারা। শঙ্করকে গাড়িতে তোলার সময় একটা ইট গিয়ে পড়ে ইডির গাড়িতে। সেই আক্রমণে ইডির গাড়ির কাচ ভেঙেছে কি না, মধ্যরাতের অন্ধকারে পরিষ্কার নয়। তবে সন্দেশখালি এবং বনগাঁ, তদন্তকারীদের বাধা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল একই।

সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শুক্রবার নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। অনেক ক্ষণ ডেকে শাহজাহনের সাড়া না পেয়ে বাড়ির দরজা ভাঙতে শুরু করে ইডি। তখনই স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হয় আধিকারিকদের। জনতার মারে ইডির তিন আধিকারিক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনের মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে। ইডি এই ঘটনায় চুপ করে বসে থাকবে না বলে জানায়। স্থানীয় থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগও।

এত কাণ্ডের পরে শুক্রবার আর শাহজাহানকে ধরা যায়নি। ইডির ধারণা, তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আইবি-র সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement