—প্রতীকী ছবি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ হয়েছিল ২৭ কোটি টাকারও বেশি। বিয়ের আসর বসেছিল দুবাইয়ে। নাগপুর থেকে বরযাত্রী দুবাই যাতায়াত করেছিলেন ভাড়া করা উড়ানে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বিয়ের খবর কিছু দিন পরে পৌঁছেছিল দিল্লিতে ইডি-র দফতরে। সন্তর্পণে তদন্তে নামেন ইডি-র অফিসারেরা। ইডি-র দাবি, সেই বিয়ের খরচের জন্য প্রায় ১২২ কোটি টাকা ভারত থেকে দুবাইয়ে হাওলা মারফত পাঠানো হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, সেই হাওয়ালা চক্রের মূল পাণ্ডা নাকি কলকাতারই বাসিন্দা। ছত্তীসগঢ় থেকে ওই প্রতারণা চক্রের চার পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।
ওই ঘটনারই তদন্তে নেমে শুক্রবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ, গয়না ও সম্পত্তি মিলিয়ে ৪১৭ কোটি টাকারও বেশি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। হাওলা চক্র ছাড়াও এই বিশাল অঙ্কের লেনদেনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অনলাইন লটারি অ্যাপও জড়িত বলে ইডির তদন্তকারীদের দাবি।
ইডি-র দাবি অনুযায়ী, দুবাই থেকে ওই অনলাইন লটারি ও হাওলা চক্র নিয়ন্ত্রণ করা হত। ছত্তীসগঢ় থেকে গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যদের জেরা করেই কলকাতা ছাড়াও শুক্রবারে মুম্বই, ভোপাল ও ছত্তীসগঢ়ে তল্লাশি চালিয়ে শুধু ২৫৫ কোটি নগদ টাকা ও ১৩ কোটি
টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি জানিয়েছে। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ১৬২ কোটি টাকা বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ইডি-র দাবি, গত ফেব্রুয়ারিতে সৌরভ চন্দ্রকর নামে দুবাইয়ের বাসিন্দা এক ভারতীয়ের বিয়ে হয় দুবাইয়েই। নাগপুর থেকে বরযাত্রীরা ভাড়া করা উড়ানে দুবাই যাতায়াত করেছিলেন বলে ইডি সূত্রের খবর। সেই বিয়ের টাকাই হাওলা মারফত লেনদেন হয়েছিল বলে ইডি জানিয়েছে।