ইডির হাতে গ্রেফতার প্রসন্ন রায়। —ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হলেন প্রসন্ন রায়। সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় ইডির হাতে এই প্রথম গ্রেফতারি। এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন।
ইডির সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে প্রসন্নের ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই নথির ভিত্তিতে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। কিন্তু সে বার তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। সোমবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছিল ইডি। সকালে তিনি সিজিও-তে এসে হাজির হন। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টির উপর সংস্থা রয়েছে প্রসন্নের। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। তার কিছু রয়েছে বিধাননগর, নিউ টাউনে বাকি শহরের অন্যান্য জায়গায়। এর আগে ইডি প্রাথমিকের ‘দুর্নীতি’ মামলায় তদন্ত করছিল। প্রসন্নের ফ্ল্যাটের সূত্র ধরে এসএসসি মামলার তদন্তেও সক্রিয় হয়েছিল তারা। এ বার এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করল ইডি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’। এক জন ‘মিডলম্যান’। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল সিবিআই সূত্রে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিজেপি নেতা তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিলের ফোটোকপিও পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই। প্রসন্নকে এর পরে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে গ্রেফতার করা হলেও প্রসন্নের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়নি। চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন। বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত।