সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। —ফাইল চিত্র।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেল ইডি। শুক্রবার বিচারকের পর্যবেক্ষণ, মামলার তদন্তকারী অফিসার অত্যন্ত গোপন নথি আদালতে পেশ করেছেন। তা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে সুজয় এখন প্যারোলে রয়েছেন। বিচারকের নির্দেশ, সংশোধনাগারে ফেরত আসার তিন দিনের মধ্যে ওই নমুনা সংগ্রহ করবে ইডি।
তবে, এ নিয়ে বিস্তর বাদানুবাদ হয় আদালতে। ইডির তরফে সংগ্রহ করা সুজয়ের মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডিং বেআইনি বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবীরা। সুজয়ের আইনজীবী সেলিম রহমান ও নাজমুল আলম সরকার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার সঙ্গে জড়িত ছাড়া কোনও ব্যক্তির মোবাইলে আড়ি পাতা সম্পূর্ণ বেআইনি। আইনের কোন ধারায় তা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা আদালতে পেশ করা হোক।’’
ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও অভিজিৎ ভদ্রের দাবি, রেকর্ডিং সম্পূর্ণ আইনি ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, কোন পরিস্থিতিতে ওই ভয়েস কল রেকর্ড করা হয়েছে, তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাবে না। ইডির দাবি, ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সুজয় তাঁর ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে বিষ্ণুপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফোনে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত সমস্ত নথি নষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই ভয়েস কলের রেকর্ডিং তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেটাই যাচাই করতে সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন।
সুজয়ের আইনজীবীদের দাবি, ওই নির্দিষ্ট সময়ে কোনও ফোন করা হয়নি। মোবাইল পরিষেবা সংস্থার নথিও আদালতে জমা দিয়েছেন তাঁরা।