প্রতীকী ছবি।
নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের নিজেদের সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার জন্য ই-মেল পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়া বাকিদের কাছে এই ই-মেল পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে, এই ই-মেল মূলত হিসেব জমা দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই পাঠানো হয়েছে বলে ইডি কর্তারা জানান। বলা হয়েছে, লকডাউন শুরুর আগেই অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সাড়া না পেয়ে আবার ই-মেল করা হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আবার লকডাউন শুরু হতে চলেছে। এর মধ্যে সল্টলেকে ইডি দফতরে গিয়ে হিসেব জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সমস্যা থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘যা যা নথিপত্র তাঁদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে, ই-মেলে তাঁরা তা পাঠাতে পারেন। সে কথা তাঁদের জানানো হয়েছে। সেই সব নথিপত্র দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।’’
নারদ কাণ্ডে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনকে ডেকে কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর, তাঁর পরিবারের যাবতীয় সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসেব শোভনবাবু ইডি-র কাছে জমা দিয়েছেন। অভিযোগ, বাকিদের কাছ থেকে সেই নথিপত্র এখনও পাওয়া যায়নি। রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, তাঁরা এই ই-মেল পাননি। ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্তদের মধ্যে সুলতান আহমেদ মারা গিয়েছেন। শোভন, সুব্রত, মুকুল, অপরূপা, ফিরহাদ ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে সাংসদ সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, তৃণমূল নেতা ইকবাল আহমেদ এবং পুলিশ কর্তা এস এইচ এম মির্জার নাম। এই মামলায় একমাত্র মির্জাকেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।