সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
প্রথম ‘ধাক্কাটা’ এসেছিল সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী, দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনকে ইডি-র দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরেই। তার পরে, টানা তিন দিন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) কার্যত সর্বক্ষণ চোখ আটকে রয়েছে টিভির পর্দায়, শুক্রবার এমনটাই জানা যাচ্ছে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার সূত্রে।
অন্ডাল থেকে উড়ান ধরে মেয়ে সুকন্যা দিল্লি যাচ্ছেন, এই খবর পাওয়ার পর থেকেই চিন্তাগ্রস্ত দেখায় অনুব্রতকে। ২ নভেম্বর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সুকন্যাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, তখন থেকেই টিভিতে নজর রাখছেন অনুব্রত।
এমনিই বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন অনুব্রত। জেল সূত্রে খবর, মেয়েকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে, কার্যত দু’চোখের পাতা এক করেননি তিনি। সংশোধনাগারে রাতেও সেলের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। কারারক্ষীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহারা দেওয়ার সময়ে, উঁকি দিয়ে দেখা গিয়েছে, অনুব্রত জেগেই রয়েছেন।
সূত্রের দাবি, প্রাতরাশ, দুপুর এবং রাতের খাবার নেওয়ার সময়ে কারা-কর্মীদের শুধুমাত্র কুশল বিনিময় করছেন। কিন্তু সহবন্দি হোক বা কারাকর্মী, কারও সঙ্গেই দিনভর কার্যত কোনও কথা বলছেন না অনুব্রত। তাঁর চোখ-মুখেও চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।
দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ আদালত গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া সেহগালকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে পাঠানো হয়েছে— এই খবর জানার পরে দৃশ্যতই অনুব্রতকে আরও মনমরা দেখিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।