জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আর কয়েক মাস বাকি। তার আগে সেই ভোটের প্রস্তুতিতে আধিকারিক নিয়োগ-সহ বাকি কাজ শুরু করার নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে শুক্রবার লিখিত ভাবে কমিশন জানিয়েছে, এমন আধিকারিকদেরই ভোটের কাজে নিয়োগ করা যাবে, যাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি কমিশন। পদ থেকে অতীতে কাউকে কমিশন সরিয়ে দিলেও, তাঁকে ভোটের দায়িত্বে রাখা যাবে না। একই পদে তিন বছর যাঁদের পূর্ণ হচ্ছে, তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। পুলিশ-সহ প্রশাসনের বাকি আমলা-আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে। এর আগে কমিশনের নির্দেশে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদে থাকা কর্তাকেও সরিয়ে দিতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে পুলিশ-সহ জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, এসডিও, বিডিও পদে ইতিমধ্যেই বড় রদবদল করেছে রাজ্য। তবে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, তাঁদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে কমিশন অতীতে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছিল। কমিশনের বিধি মানলে তাঁদের অপসারণ হয়তো সময়ের অপেক্ষা।
সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, যা-ই হোক, তা হতে হবে ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে। কারণ, তালিকা সংশোধনের সময়ে সাধারণত অফিসার (যাঁরা যুক্ত) বদলি করা হয় না।