ফাইল চিত্র।
রাজ্যের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট এবং ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার তার বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন সেই সঙ্গে রাজ্যের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তথ্য চেয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
গত বিধানসভা ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যথেষ্ট তৎপর হয়েছিল কমিশন। প্রতি সপ্তাহে সব জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সবিস্তার রিপোর্ট কমিশনে পাঠাতে হচ্ছিল জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারদের। এ বারেও একই পথে হাঁটল কমিশন। বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর এবং ভবানীপুর কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন এবং দক্ষিণ কলকাতা জেলা নির্বাচনী অফিসারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকাগুলিতে গোলমাল পাকাতে পারে, এমন ক’জন আছে, ক’জনের বিরুদ্ধে অতীতের গোলমালের জন্য অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক মাসে আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে তার প্রকৃতি এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের সবিস্তার তথ্য পেশ করতে হবে কমিশনের কাছে। সেই সব রিপোর্ট সংগ্রহে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতর।
অনেক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকের ব্যাখ্যা, গত বিধানসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। এ বার জঙ্গিপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনিই। ফলে আইনশৃঙ্খলার উপরে কমিশনের বাড়তি নজর থাকবে। পাশাপাশি, গত ভোটের পর থেকে হিংসার নানা অভিযোগে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট-পরবর্তী হিংসায় খুন-ধর্ষণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। রাজ্যের বরাবরের দাবি, ভোট-হিংসার ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন এখানে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। তাই আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে কমিশন এ বার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেরই ধারণা।
মুর্শিদাবাদে আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই জেলার যে-সব শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলির নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাঁদের এখনই ছাড়া যাবে না।