প্রতীকী ছবি।
মেমু ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনে যাত্রিভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল করল পূর্ব রেল। ফলে বিভিন্ন রুটে চলা মেমু এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পুরনো যাত্রিভাড়াই বহাল রইল। পূর্ব রেল জানিয়েছে, রেল বোর্ডের একটি নির্দেশিকার ‘ভুল ব্যাখ্যা’র কারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। আপাতত সেই বিভ্রান্তি কাটিয়ে পুরনো ভাড়ায় ফিরে যাওয়া হয়েছে।
প্রায় পাঁচ মাস লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল রাজ্যে। গত রবিবারই রাজ্যের নির্দেশে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু যাত্রীরা অভিযোগ করতে থাকেন লোকাল ট্রেনের ভাড়া এক থাকলেও বিভিন্ন রুটে মেমু ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। পূর্ব রেলও জানায় রেলবোর্ডের নির্দেশিকা মেনে কোভিড পরিস্থিতিতে যাত্রী সংখ্যা কম রাখতেই এই ব্যবস্থা। যদিও রেলের এই বিবৃতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি যাত্রীদের। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলতে থাকে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে যাত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি রেল বোর্ড যোগাযোগ করে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। জানানো হয় বোর্ডের নির্দেশিকার ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে। বোর্ড কোনও ভাবেই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা ওই নির্দেশিকায় বোঝাতে চায়নি। এর পরই পূর্ব রেলের ভাড়া না বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেলওয়ে বোর্ডের একটি নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে বর্ধিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই নির্দেশিকার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাই আপাতত ভাড়া বাড়ছে না কোনও ট্রেনেই।’’