ডিওয়াইএফআই-র এনআরবি ফর্ম।
নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে জাতীয় বেকারপঞ্জি (এনআরইউ) নিয়ে সক্রিয় হয়েছে যুব কংগ্রেস। একই বিষয়ে জাতীয় বেরোজগার পঞ্জি (এনআরবি) নিয়ে রাজ্যে তৃণমূল ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গতি বাড়াতে চাইছে যুব সিপিএম। তাদের এনআরবি-র কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছিল রাহুল গাঁধীর পরামর্শে যুব কংগ্রেস এনআরইউ-এর কথা বলার আগেই। এনআরবি-কে হাতিয়ার করেই উত্তরবঙ্গ এবং দিল্লিতে অভিযানে যাচ্ছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।
এনআরবি-র কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হাজার পঁচিশেক কর্মহীন তরুণ-তরুণী চাকরির দাবিতে ওই ফর্ম পূরণ করেছেন বলে ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি। এনআরসি বা এনপিআর নিয়ে মাতামাতি না করে কর্মসংস্থানের জন্য এনআরবি তৈরি হোক, এই দাবি নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নাও দেবেন তাঁরা। তবে দিল্লির ভোটের জন্য পুলিশ এখনও ধর্নার অনুমতি দেয়নি। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র সোমবার বলেন, ‘‘আমরা দিল্লির ধর্নার দিনটা পিছিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করছি। অনুমতি পাওয়া যাক বা না যাক, কর্মসূচি হবেই। এক দিকে জামিয়া মিলিয়া, শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের উপরে রামভক্ত গোপালেরা গুলি চালাচ্ছে আর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অর্থনীতিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাচ্ছে! এনআরবি এই বাজেটের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ।’’
দিল্লি যাওয়ার আগে এই সপ্তাহে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে এনআরবি-র জন্য আবেদন সংগ্রহে যাবেন সিপিএমের যুব কর্মীরা। ‘চা বাগান চলো’র ডাক রয়েছে ১০ তারিখ। উত্তরবঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে উত্তরকন্যা অভিযান হবে ১২ তারিখ। একই কারণে গত সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযান করেছিল বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলি।
প্রতিবাদের নামে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি করে মারার হুমকি দেওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্যের সব থানায় এফআইআর দায়ের করার কর্মসূচি নিয়েছিল ডিওয়াইএফআই। কিন্তু তাদের অভিযোগ, বহু জায়গায় পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এমনকি, কান্দিতে অভিযোগ নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করায় অভিযোগকারীদেরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সায়নদীপের বক্তব্য, ‘‘কাদের ছত্রচ্ছায়ায় দিলীপ ঘোষেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, বুঝতে আর বাকি নেই!’’