প্রতীকী ছবি।
টানা দু’দিনের বৃষ্টির ফলে চাপ বেড়েছে দুর্গাপুর জলাধারের উপর। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার দামোদর নদের বাঁধ থেকে ধীরে ধীরে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ডিভিসি সূত্রের খবর, দুর্গাপুরে দামোদরের জলাধার থেকে প্রায় ২১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি, পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকেও ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। তবে তা বৃষ্টির কারণে নয়, চাষের জমিতে জলের প্রয়োজনে। ওই জল দুর্গাপুর ব্যারেজ পর্যন্ত পৌছনোর আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে ওই সূত্রের দাবি।
ডিভিসি-র জনসংযোগ আধিকারিক অপুর্ব সাহা বৃহস্পতিবার বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে জল ছাড়ার কথা এখনও ভাবা হচ্ছে না। এখনই এ নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তিনি জানান, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের এখন জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১৬-১৭ ফুট। অর্থাৎ টানা আরও দু’দিন টানা বৃষ্টি হলে বাঁধের জল বিপদসীমার কাছে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডিভিসি জল ছাড়বে কি না চিন্তা করবে। অপূর্ব জানান, জল ছাড়ার বিষয় সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।
পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তাতে দামোদরের নিম্নবর্তী এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্য সেচ দফতরের ভারপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিংহ। ডিভিসি সূত্রের খবর, প্রবল বৃষ্টির কারণে পাঞ্চেত এবং মাইথনের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত কোনার এবং তেনুঘাট জলাধারের জলস্তরও ক্রমশ বাড়ছে।