দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চাঞ্চল্য। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
ইঞ্জেকশন নিতেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে একের পর এক শিশু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় সেখানকার শিশু বিভাগে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইঞ্জেকশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার। আতঙ্কে শিশুদের অভিভাবকরা।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে শুক্রবার প্রায় ১৫ জন শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ইঞ্জেকশন নিয়েই একে একে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিশুদের মা-বাবারা। হাসপাতালে তৈরি হয় উত্তেজনা। হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদেরও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে সবাইকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ও বিকেলে শিশুদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে। অভিযোগ, ইঞ্জেকশন নিয়ে অন্তত ১৫ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে মহকুমা হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিয়ে যান আতঙ্কিত অভিভাবকরা। বাকি ৮ শিশু মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তারা সবাই সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। ইঞ্জেকশন নিয়ে কোনও ভাবে হয়ত শিশুদের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।’’
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘৭টি শিশুকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হলেও মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ৮ শিশু এখন সুস্থ ও ভাল আছে। ভয়ের কিছু নেই। ইঞ্জেকশনের ভায়াল পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে।’’