জল ছাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারাজ। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে একেই প্লাবিত হয়েছে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানের বহু এলাকা। তার উপর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এই তিন জেলার বহু জায়গায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৭২ হাজার ২২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে নদীগুলোও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারেও জল বাড়তে শুরু করেছে। জলের চাপ বাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরও। যে হেতু এই ব্যারেজের জলধারণ ক্ষমতা কম তাই বাধ্য হয়েই জল ছাড়া শুরু করেছে তারা।
প্রবল বৃষ্টিতে নদী উপচে জল ঢুকেছে আসানসোলের ঘাঁঘর বুড়ি মন্দিরে। নিজস্ব চিত্র।
গত তিন দিন ধরে বৃষ্টির ফলে হাওড়া, হুগলি এবং বর্ধমানের বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো ইতিমধ্যেই নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ওই সব এলাকায়। বৃষ্টি আরও বাড়লে পরিস্থিতি যে ভয়ানক হবে সেই প্রমাদ গুনছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
আসানসোলে টানা বৃষ্টিরে জেরে বেশ কিছু জায়াগায় ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। সেখানেরই র্যাকেট অ্যান্ড কোলম্যান এলাকায় দেওয়াল চাপা পড়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুটির মা। গাডুই এবং নুনিয়া নদীর দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকেছে বেশ কয়েকটি গ্রামে। নদী উপছে জল ঢুকেছে আসানসোলের ঘাঁঘর বুড়ি মন্দিরের ভিতরেও।