তৃতীয় জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা। ফাইল চিত্র ।
পুজোয় অনুদান এবং বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার আবারও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। পুজোয় অনুদান এবং বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে তৃতীয় বার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল উচ্চ আদালতে। সৌরভ দত্ত নামে দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা এই মামলাটি করেন। সৌরভের আইনজীবী শামিম আহমেদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন না। পাশাপাশি রাজ্যের অনেক বাড়িতে এখনও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে বুধবার এই বিষয়ে জোড়া মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিকে টাকা অনুদান দেওয়ার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী পারমিতা দে-কে এই মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। আবেদনকারী পক্ষের তরফে বুধবার মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয় হাই কোর্টে।
এর পর বুধবার জনৈক সুবীরকুমার ঘোষ সরকারের এই অনুদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আদালতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো কমিটিকে অনুদানের ঘোষণার বিরোধিতা করে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন ওই মামলাকারী। আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে কেন পুজোয় অনুদান দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। মামলাকারীর দাবি, রাজ্যে যেখানে বহু মানুষ দু’বেলা খেতে পায় না, ঠিক মতো পানীয় জলটুকু পায় না, সেখানে এত টাকা জনমুখী কোনও কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন? পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলে যে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করা হয়। মামলাকারী আবেদন করেন, বৃহত্তর জনস্বার্থে এই অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক রাজ্য সরকার।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গত দু’বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্যের দেওয়া অনুদানের অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার। তবে এ বার আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলি বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় পাবে। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা।