Kanyashree University

অর্থাভাবে থমকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন

নিজস্ব ভবন না থাকায় কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা। কবে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরি হবে, কবে ক্লাস শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৪
Share:

কলেজিয়েট স্কুলে হচ্ছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

শিলান্যাসের পর তিন বছর পার। এখনও শুরু হয়নি কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরির কাজ। শুধু তাই নয়, আর্থিক অনুমোদন মিললেও এখনও হাতে একটা একটা টাকাও পাওয়া যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। নিজস্ব ভবন না থাকায় কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা। কবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরি হবে, কবে ক্লাস শুরু হবে তা অনিশ্চিত।

Advertisement

কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে শুধু ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়। কিন্তু নিজস্ব ভবন না থাকায় কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে ক্লাস শুরু হয়। সেখানে বছর খানেক ক্লাস হওয়ার পর কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের নতুন ভবনে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হয়। বর্তমানে সেখানেই চলছে পঠনপাঠন। দশটি বিষয়ে প্রায় এক হাজার ছাত্রী ক্লাস করে বলে জানা গিয়েছে। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষের আবাসনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মর জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের ৯ একর জমি দেওয়া হয়েছে। জমির প্রবেশ পথে তোরণও তৈরি। নির্মাণ কাজ বলতে ওইটুকুই। তবে শুরুতেই ভবন তৈরির জন্য প্রায় সাড়ে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও অনুমোদনের পর এতদিনেও সেই টাকা হাতে না আসায় ভবন তৈরির কাজ বিশ বাঁও জলেই রয়েছে। অথচ ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে তিনটি কিস্তিতে বরাদ্দ টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

ভবন তৈরি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরের নদিয়া কনস্ট্রাকশন ডিভিশনকে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ২০২০ সালে যখন প্রকল্পের খরচের হিসাব করা হয়েছিল তখন জিএসটি ছিল ১২ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশ। পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রীর দামও বেড়েছে এই তিন বছরে। ফলে সম্প্রতি ‘রিভাইস এস্টিমেট’ করে প্রায় ২৭ কোটি টাকা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে পূর্ত দফতর। মাস দেড়েক আগে ভবন তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে চিঠিতে জানানো হলেও সেই টাকা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দেবব্রত সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন,“এটা উচ্চশিক্ষা দফতরের বিষয়। এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement