কেন্দ্রীয় সরকারের থেকেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছে মমতার সরকার। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মসূচি পুরস্কৃত করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুনতে অবাক লাগলেও হলেও এমনটাই ঘটেছে। সোমবার তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পৌঁছছে নবান্নে। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে পুরস্কৃত করার কথা জানানো হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল ইন্ডিয়া পুরস্কার পাচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। আগামী ৭ জানুয়ারি দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে রাজ্যের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই খবরে স্বভাবতই দারুণ খুশি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। কারণ, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কর্মসূচির নামবদল-সহ অর্থ বরাদ্দ নিয়ে যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে এই স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের কাছে বড় প্রাপ্তি।
কেন্দ্রের শাসকদল তথা রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্পগুলি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলেছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের থেকেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছে মমতার সরকার। তাই বিজেপি পরিচালিত সরকারের থেকে এই স্বীকৃতি পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে তাঁর পরামর্শেই শুরু হয় এই কর্মসূচি। সমস্ত সরকারি পরিষেবা-সহ স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, তফশিলি জাতি, আদিবাসী ও ওবিসিদের শংসাপত্র প্রদান, কৃষক বন্ধু, তফসিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্প, মানবিক প্রকল্প-সহ নানাবিধ সরকারি পরিষেবা এই দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে পান রাজ্যের সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের পাঁচটি দফা সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের কাছে সফল ভাবে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে চলবে দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলি। রাজ্যে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার শিবির চালানো হয়েছে।