—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনীর কাজ চলবে ১৮ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার আগে খসড়া ভোটার তালিকা নিখুঁত করতে চাইছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতর (সিইও)। তাই ধারাবাহিক ভাবে জমা পড়া সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শেষ করতে সময় বাঁধল তারা। বুথ ভাঙার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তার সবিস্তার রিপোর্ট জমাও পড়েছে নির্বাচন কমিশনে।
বঙ্গে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৮ নভেম্বর। সেই কাজ নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে শেষ করার নির্দেশ এসেছে বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ভোটার তালিকা নিয়ে দিন চারেক আগে জেলাশাসক-সহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক হয় সিইও-র দফতরের। রাজ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে জানুয়ারিতে এবং আগামী বছর বিধানসভা ভোট হবে তারই ভিত্তিতে।
অফলাইন ছাড়াও ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ ধারাবাহিক ভাবে চলে অনলাইনে। সেই সব প্রক্রিয়ায় জমা পড়া আবেদন খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবে সংশ্লিষ্ট জেলা। খসড়া ভোটার তালিকায় সেই সব আবেদনের প্রতিফলন যাতে থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে চায় কমিশন। দিল্লির নির্বাচন সদনের কর্তাদের বক্তব্য, সংযোজন, সংশোধন বা বিয়োজন— সব ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। ভোটার তালিকা থেকে নাম ছাঁটাই নিয়ে অনেক সময়েই বিতর্ক বাধে। তাই গত বছর থেকে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, সাত নম্বর ফর্মে আবেদন না-এলে তালিকা থেকে কারও নাম কাটা যাবে না। পাশাপাশি রয়েছে সংশোধনের কাজ। সেই প্রক্রিয়ায় কখনও সবটুকু ঠিকঠাক হয় না বলে ভোটারদের তরফে অভিযোগ করা হয়। নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়েও যে তালিকা একশো শতাংশ নিখুঁত করা সম্ভব নয়, কমিশন-কর্তারা সেটা মেনে নিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ‘‘চাইলে যে-কোনও কাজই সম্পূর্ণ ত্রুটিবিহীন করা যায়, এই দাবি বাস্তবসম্মত নয়। তবে যতটা সম্ভব নির্ভুল করার চেষ্টা দরকার। আর তা হচ্ছে।’’ পড়শি রাজ্য বিহারে বুথ-পিছু সর্বাধিক ভোটার এক হাজার হলেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যে তা দেড় হাজার। বাংলার প্রায় ১০০ বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার থাকায় সেগুলি ভাঙা হচ্ছে। এই বিষয়ে কমিশনে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে বুথ ভাঙার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আপাতত এটুকু বলা যায় যে, রাজ্যে বুথ-সংখ্যায় কিছু সংযোজন হচ্ছেই।