শুশুকটিকে গঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া দেন মৎস্যজীবীরা। —নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গায় মৎস্যজীবীদের ইলিশ ধরার জালে আটকা পড়ল একটি শুশুক। তবে স্থানীয় এক যুবকের চেষ্টায় সেটিকে ফের গঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। রবিবার হুগলির বলাগড়ে শুশুক আটকে এক মৎস্যজীবীর জাল ছিঁড়ে যাওয়ায় তার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বন দফতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ইলিশ ধরতে নিয়মিত গঙ্গায় জাল ফেলেন বলাগড়ের সোমড়া বাজারের মৎস্যজীবীরা। প্রতিদিনের মতো রবিবারও গঙ্গায় জাল ফেলেছিলেন এক মৎস্যজীবী। জাল টেনে তোলার পর তাতে শুশুকটিকে আটকে থাকতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। খবর পেয়ে আশিস সাঁতরা নামে স্থানীয় এক যুবক ঘটনাস্থলে যান। শুশুকটিকে গঙ্গায় ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেনি তিনি। তবে সেটি আটকানোয় জাল ছিঁড়ে প্রায় দেড় হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মৎস্যজীবীরা। এর পর তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন আশিস।
ক্ষতিপূরণের জন্য জেলা মৎস্য দফতরে যোগাযোগ করে মৎস্যজীবীদের বলাগড়ে যেতে বলেন আশিস। তবে দফতরের গাড়িচালক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেখান থেকে উদ্ধারকাজে কেউ আসতে পারেননি। যদিও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে শুশুকটিকে গঙ্গায় ছেড়ে দিতে বলে বন দফতর। আশিসের মাধ্যমেই মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়। শুশুকটিকে ফের গঙ্গায় ছেড়ে দেন তাঁরা।
শুশুকটিকে ফের গঙ্গায় ছেড়ে দেওয়ায় খুশি আশিস। তিনি বলেন, “প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে শুশুক ধরা পড়ার কথা জানতে পারি। গিয়ে দেখি, জালে জড়ানো অবস্থাতেই সেটিকে নৌকায় তুলে রেখেছেন মৎস্যজীবীরা। বেশিক্ষণ সে ভাবে থাকলে হয়ত মারা যেত শুশুকটি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করলে মৎস্যজীবীরা জাল ছেঁড়ার কথা বলেন। তখনই বন দফতরের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের জন্য যোগাযোগ করি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে শুশুকটিকে ফের গঙ্গায় ছেড়ে দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে।” এ নিয়ে বন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।