৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা, এসএসকেএম-এ গিয়ে ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি বলেন, ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। না হলে সরকার পাশে থাকবে না। যাঁরা কাজে যোগ দেবেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ১২:৪৪
Share:

এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র

এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যাঁরা কাজে যোগ দেবেন, তাঁদের সঙ্গে সরকার থাকবে। আর যাঁরা যোগ দেবেন না, তাঁদের সরকার কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের প্রতিবাদে আন্দোলনে হবু চিকিৎসকরা। এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় হবু চিকিৎসকরা। বন্ধ আউটডোর। এই অচলাবস্থা কাটাতে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে জরুরি বিভাগের সামনে এবং গোটা চত্বরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর জরুরি বিভাগের সামনে এক রোগীর সঙ্গেও কথা বলেন। তার পরই কড়া বার্তা দিতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আজকের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। এনাফ ইজ এনাফ। মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। দমকল যদি বলে আগুন নেভাব না, পুলিশ যদি বলে কাজ করব না— সেটা হতে পারে না।’’

Advertisement

এর পর আরও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। না হলে সরকার পাশে থাকবে না। যাঁরা কাজে যোগ দেবেন, তাঁদের সব রকম সাহায্য করা হবে। কিন্তু যাঁরা যোগ দেবেন না, তাঁদের পাশে সরকার থাকবে না।’’ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এরা জুনিয়র ডাক্তার নন, সব আউটসাইডার।’’ হবু চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দিলে হস্টেল ছাড়তে হবে বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ৬০ ঘণ্টা পার, অচল এনআরএস, কলকাতার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অমিল

আরও পডু়ন: ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা, এসএসকেএম-এ গিয়ে ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

এর মধ্যেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ‘হায় হায়’ স্লোগানও। এক সময় কার্যত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ঘেরাও করেও রাখেন।

যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

• ডাক্তারদের কাজ পরিষেবা দেওয়া

• সিপি-কে আমি নিজে ওখানে যেতে বলেছি, তিনি গিয়ে ৩ ঘণ্টা ছিলেন

• চন্দ্রিমাকে এনআরএস হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম

• ওঁকে বললাম ফোনে ওদের সঙ্গে কথা বলব, কিন্তু ওরা কথাই বলতে চাইছে না

• এর মধ্যে বিজেপি ঢুকে হিন্দু-মুসলিম করেছে

• এর মধ্যে সিপিএমের একটা পার্ট আছে

• আপনারা শুনে আশ্চর্য হবেন, একটা ডাক্তার তৈরি করতে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়

• ২ বছরের বন্ড থাকে, সেটা কমপ্লিট করে অন্যত্র চলে যায়

• মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই কাজ

• আমি এসে দেখলাম, একটা অ্যাক্সিডেন্ট পেশেন্ট, সে যে কোনও সময় মারা যেতে পারে

• একটা বাচ্চা, সে পুরুলিয়া থেকে এসেছে, তার পেটে নল ঢোকানো আছে, তার চিকিৎসা করছে না

• একটা ঘটনা ঘটতেই পারে, কেন এটা হবে

• আমরা তো অ্যাকশন নিয়েছি, তার পর তুমি কেন ইনঅ্যাকশন দেখাচ্ছ?

• বিজেপির উস্কানিতে এই উন্মাদনা চলছে

• যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের আমরা সাহায্য করব

• যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের আমরা দেখে নেব

• এটা জরুরি পরিষেবা, এসেন্সিয়াল সার্ভিসেস অ্যাক্টে ধর্মঘট করা যায় না

• সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, আমরা আইনি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

• আমরা রোগী মারা যাওয়ার ঘটনারও তদন্ত করে দেখব, কেন ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই একটা রোগী মারা গেল, সেটা দেখতে হবে

• আবার হামলার ঘটনারও তদন্ত করব

• দু’টো ঘটনারই তদন্ত করে রিপোর্ট জনসমক্ষে আনব

• ওরা কখনই আমার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেননি, আমি নিজে ওদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি

• সেনাবাহিনী কখনও বলতে পারে না, কাজ করব না

• জুনিয়র ডাক্তাররা বুঝতে পারছে না, সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গেলে ওরা কোথায় যাবে?

• সেই কারণেই আমরা ৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি, তার পরই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব

• আহত জুনিয়র ডাক্তারের চিকিৎসার সমস্ত খরচ আমরা বহন করছি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement