প্রতীকী ছবি।
বাতাসে শিরশিরে ভাব কাটেনি। তবে হাওয়া অফিসের খবর, উত্তুরে হাওয়ার বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। অনেকটা পঞ্জিকা মেনেই যেন ফাল্গুনের সূচনায় বসন্তকে জায়গা ছেড়ে বিদায় নিল শীত। এ বার ধীরে ধীরে পারদ উত্থানের পালা। এমনিতে জলবায়ুর খেয়ালিপনায় ইদানীং ঋতুবৈচিত্রে বসন্ত কার্যত মালুমই হয় না। এ বারেও তাই বাতাসের শিরশিরে ভাব ক’দিন থাকে, সেটাই দেখার।
শীতের বিদায়বেলায় বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য-বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে পরজীবীরা বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই বাড়তি সতর্কতা দরকার। ঠান্ডা-গরমের আবহাওয়ায় ফ্যান বা এসি চালালে চট করে সর্দিজ্বর হতে পারে। এই সময়ে ঠান্ডা পানীয় বা বরফজাতীয় কিছু খাওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলছেন তাঁরা। পরামর্শ দিচ্ছেন, গভীর রাতে আর ভোরে হাল্কা গরম পোশাক ব্যবহার করুন।
রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি কম। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই রাতের পারদ স্বাভাবিকের উপরে উঠতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানাচ্ছেন, শীতের আগমন বা বিদায়ের নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট দেওয়া হয় না। শীত রয়েছে কি না, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মাপকাঠিতে তার বিচার হয়। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে থাকলে সেটাকে বলা হয় শীত। এই মরসুমে কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে আর নামবে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
ডিসেম্বরে দু’দফায় জোর শীত পড়েছিল। কনকনে শীতের ধাক্কা জানুয়ারিতে সইতে না-হলেও মিলেছে মোলায়েম শীত। গত কয়েক বছরে জানুয়ারির শেষে শীত বিদায় নিলেও এ বার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে তার ইনিংস। অনেকের মতে, সেটাও কম নয়।