চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
বুধবার সকালেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। আরজি করের মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তাঁকে তলব করা হয়েছে সিবিআই দফতরে। এই নিয়ে পর পর তিন দিন সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন তিনি। তবে তার আগেও এক বার তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শুধু তিনি একা নন, বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীকেও। উল্লেখ্য, আরজি করের মৃত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের জন্য যে দল গঠন করা হয়েছিল, সেই দলেই ছিলেন অপূর্ব।
রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন চিকিৎসক অপূর্ব। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, মৃতার দেহের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতার ‘কাকু’ বলে পরিচয় দিয়ে, এক ব্যক্তি দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এমনকি তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন অপূর্ব। তাঁর দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘‘তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত না-হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব।” সেই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। নির্যাতিতার সেই ‘কাকু’ আসলে কে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। পরে উঠে আসে সঞ্জীব নামে এক ব্যক্তির নাম, যাঁকে নির্যাতিতা ‘কাকু’ বলে সম্বোধন করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। তবে অপূর্ব, সেই সঞ্জীবের কথাই বলতে চেয়েছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সিবিআইয়ের এক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের সময় ঠিক কী ঘটেছিল? কারা কারা উপস্থিত ছিলেন? সেই সব বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে অপূর্বের কাছে। পাশাপাশি, ‘রক্তগঙ্গা বইয়ে’ দেওয়ার যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন, সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হতে পারে।
অন্য দিকে, বুধবারই আরজি করের চিকিৎসক খুনের মামলায় ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করবে সিবিআই। পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে তাঁদের আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে সন্দীপের নার্কো পরীক্ষা এবং অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। তবে সন্দীপেরা সেই পরীক্ষা করতে দিতে রাজি হবেন কি না, তা বুধবারই স্পষ্ট হবে।