—ফাইল চিত্র।
হাসপাতালে তাঁর কেবিনে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়-সহ সন্তানদের। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে এই মর্মে চিঠি পাঠালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সোমবার নারদ গ্রেফতারের পর শোভনকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শোভনকে মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেই দিনই স্বামীর খোঁজ নিতে ছেলে সপ্তর্ষীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রত্না। বুধবার নারদ মামলার শুনানির পর শোভনের হয়ে তাঁর আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানান, যত ক্ষণ না শোভন নিজে অনুমতি দিচ্ছেন, তত ক্ষণ স্ত্রী রত্না-সহ তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন তাঁর কাছে ঘেঁষতে না দেওয়া হয়।
চিঠিতে শোভনের আইনজীবী লিখেছেন, শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রী রত্নাকে হাসপাতালে তাঁর কেবিনে ঢুকতে দিলে অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে। তাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন শোভন। এই প্রসঙ্গে শোভনের আইনজীবী জানান, সোমবার রাতে জেলে থাকাকালীন বুকে ব্যথা অনুভব করায় মঙ্গলবার তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তা ছাড়াও ডায়াবিটিসে ভুগছেন তিনি। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও রয়েছে। তবে ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকে তাঁর কেবিনের কাছে আসতে না দেওয়ার অনুরোধের কারণ হিসাবে প্রতিমপ্রিয় জানান, শোভনের কেবিনের বাইরে ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাবা পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে, তা সপ্তর্ষি এবং সুহানি দেখলে তাঁদের কাছে শোভনের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। সে কারণেই ‘নিষেধ’। চিঠির শেষে এসএসকেএম-এর সুপারকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে শোভনের গ্রেফতারির খবর পেয়েই নিজাম প্যালেসে যান বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না। প্রায় সারা দিন সেখানে থেকে দফায় দফায় শোভনের শরীর ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নেন তিনি। কোন পথে জামিন পাওয়া যাবে, তা নিয়েও আইনজীবীদের পরামর্শ নেন। সন্ধ্যায় ক্লান্ত রত্না বাড়ি ফিরে এলেও ছেলে সপ্তর্ষীকে বলে আসেন, ‘‘আদালতের রায় যাই হোক না কেন, বাবার সঙ্গে থাকতে হবে।’’ মঙ্গলবারের পর বুধবার সকালেও ছেলেকে নিয়ে রত্না এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি শোভনকে দেখতে গিয়েছিলেন।