বিক্ষোভে ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের শেল। কুমারগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
কাজ দেওয়ার নামে নেওয়া টাকা ফেরতের দাবিতে শতাধিক মহিলার বিক্ষোভে বুধবার তেতে উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের ডাঙা এলাকা। অভিযোগ, একটি বাড়ি ভাঙচুর ঠেকাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ইট বৃষ্টির মুখে পড়েন পুলিশকর্মীরা। অন্তত ছ’জন পুলিশ জখম হন। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে বিরাট বাহিনী নিয়ে পুলিশ সুপার রাহুল দে ঘটনাস্থলে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, লাঠি চালিয়ে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। তার জেরে মহিলা-সহ অন্তত ১২ জন আহত হন। যদিও পুলিশ সুপারের দাবি, ‘‘লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। লাঠি চালানো হয়নি। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
শাড়িতে পুঁতি বসানোর কাজের জন্য সংস্থা খুলে কুমারগঞ্জ ব্লকের প্রায় সাত-আট হাজার মহিলার কাছে নিয়োগ বাবদ মাথাপিছু ১,৫০০ টাকা করে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থার মালিক সামসুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে। নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা মর্তুজ সরকারের বাড়িতে ডিসেম্বর থেকে ভাড়া ছিলেন। সেখানেই সংস্থা খোলেন। মঙ্গলবার রাতে সামসুদ্দিন এলাকা ছেড়েছেন জেনে এ দিন সকালে শতাধিক মহিলা দল বেঁধে ওই বাড়ির সামনে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানান।
মর্তুজ বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি ‘কোনও সমস্যায় পড়েছেন’ দাবি করে মঙ্গলবার রাতে কলকাতা চলে যান।’’ তাঁর দাবি, পনেরো দিন পরে টাকা নিয়ে ফিরে আসবেন বলে তাঁকে সামসুদ্দিন জানিয়ে গিয়েছেন। এ দিন অবশ্য সামসুদ্দিন তাঁর ফোন ধরেননি বলে মর্তুজ পুলিশকে জানান। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা বাড়ির মালিককে চেনেন। তাঁকে দেখেই ওই সংস্থায় টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করান। তাঁরা বলেন, ‘‘একটি শাড়িতে পুঁতি বসালে, সপ্তাহে ৪০০ টাকা মজুরি মিলবে বলে সংস্থার মালিক বলেছিলেন। কিন্তু ওই মজুরি কেউ পায়নি। আমাদের ঠকানো হয়েছে!’’
ঘটনাচক্রে, একই জেলার তপনের রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অশ্বিনী মাহারা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হস্টেলের আদিবাসী পড়ুয়াদের স্টাইপেন্ডের প্রায় চার লক্ষ টাকা তছরুপ এবং চাকরি দেওয়ার নামে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে। আদালত এ দিন ধৃতকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।