এই চালানেই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র
উৎসবের সময়ে রেশনে দিতে প্যাকেটজাত ‘রাইস ব্র্যান অয়েল’ (তুষের তেল) পৌঁছেছিল নানা জেলায়। কিন্তু উৎপাদক সংস্থার চালানেই সেই তেলের গুণগত মান হিসেবে লেখা, ‘নন গ্যারান্টিড’। ফলে, সে তেল নিরাপদ কি না ধন্দে পড়েন রেশন ডিস্ট্রিবিউটরেরা। তাঁদের থেকে খবর পেয়ে ওই তেল বিলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মঙ্গলবার মন্ত্রী বলেন, ‘‘উপভোক্তাদের হাতে ওই তেল দিতে নিষেধ করেছি। তেলের মান পরীক্ষা করব।’’ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ‘‘আমরা মন্ত্রীর কাছে নতুন চালান দিয়ে প্যাকেটজাত তেল পাঠানোর আর্জি জানিয়েছি।’’ সংশ্লিষ্ট তেল সংস্থার কর্তা কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, তেলের মান নিয়ে প্রশ্ন নেই। চালানে ভুল লেখা হয়েছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, উৎসবে কিছু সংস্থার কাছে প্যাকেটজাত তেল কিনে রেশনের মাধ্যমে উপভোক্তাদের দেওয়া হয়। এ বার সে রকমই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এক সংস্থার কাছে ‘রাইস ব্র্যান অয়েল’ কেনা হয়। ২০০ টন তেলের বরাত দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহ থেকে পাঁচশো মিলিলিটারের প্যাকেটে সেই তেল পৌঁছতে শুরু করে বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু চালান দেখেই আপত্তি জানান বর্ধমান, বীরভূম-সহ নানা জেলার ডিস্ট্রিবিউটরেরা। তাঁদের আপত্তিতে ওই তেল রেশন ডিলারদের হাতে পৌঁছয়নি। বীরভূমের ডিস্ট্রিবিউটর সঞ্জয় বোথরা বলেন, ‘‘উৎপাদক সংস্থার চালানেই তেলের গুণগত মান অনিশ্চিত বলে লেখা। তা দেখেই আমাদের সংগঠনের নেতাদের বিষয়টি জানাই।’’ ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলা থেকেই ওই তেল বিলি করায় আপত্তি আসে। আশঙ্কা করা হয়, তেল খারাপ হলে উপভোক্তাদের রোষের মুখে পড়তে হবে রেশন ডিলারদের। সংগঠনের নেতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘‘এর পরেই বিষয়টি মন্ত্রী ও খাদ্য কমিশনারকে জানাই।’’
তেল সংস্থার কর্তা কৃষ্ণ কল্যাণীর বক্তব্য, ‘‘ভাল গুণমানের জন্য আমরা দেশের অনেক জায়গায় তেল সরবরাহের বরাত পাই। জিএসটি চালু হতেই পণ্যের গুণগত মান চালানে লিখতে হয়। তাতেই ভুল হয়েছে।’’ সে কথা জানিয়ে খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও তাঁর দাবি। যদিও খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে তেল পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরে সিদ্ধান্ত হবে।’’