High Court

Calcutta High Court: আদালতের নির্দেশ অমান্য, প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠালেন হাই কোর্টের বিচারপতি

এর আগে নন্দীগ্রামের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছিলেন। তাঁকেও ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৮
Share:

প্রধান শিক্ষককে হাজির হতে হবে আদালতে

ফের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কেন তিনি আদালতের নির্দেশ মানেননি, তা সরাসরি জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ওই প্রধান শিক্ষককে আগামী মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন।

বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে কোনও শিক্ষক রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করতে পারেন। ওই পোর্টালেই দেখা যায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাড়ির সামনের কোনও স্কুলে শূন্যপদ রয়েছে কি না। সেই মতো দক্ষিণ দিনাজপুরের বারাকৈল হাই স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মুস্তাফিজুর মোল্লা বদলির জন্য আবেদন করেন। মালদহে তাঁর বাড়ির কাছের একটি স্কুলে বদলি চান। কিন্তু পোর্টাল থেকে আবেদন গ্রহণ করা হলেও, বাধা হয়ে দাঁড়ায় বর্তমান স্কুল। বারাকৈল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁকে অনুমতি (এনওসি) দিতে গড়িমসি করেন। গত বছর অগস্ট মাস থেকে অপেক্ষা করে অনুমতি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।

Advertisement

গত ২১ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলকে নির্দেশ দেন, সাত দিনের মধ্যে বিনাশর্তে ওই শিক্ষককে অনুমতি দিতে হবে। মামলাটি ২৮ জানুয়ারি ফের শুনানির জন্য রাখা হয়। মামলকারী শিক্ষকের অভিযোগ, সাত দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও অনুমতি দেননি প্রধান শিক্ষক। উল্টে ২৯ জানুয়ারি ইমেল মারফত তিনি জানতে চান ২৮ জানুয়ারি শুনানিতে কী হয়েছে। মঙ্গলবার এই পুরো ঘটনাটি শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

তাঁর কড়া নির্দেশ, এখন অনুমতি দিলেও কিছু যায় আসে না। প্রধান শিক্ষককে হাজির হতে হবে আদালতে। কেন তিনি আগের নির্দেশ মানেনি, তার জবাব দিতে হবে। তার পর অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবে আদালত। মামলকারী শিক্ষককের আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডা বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী আমার মক্কেল বদলির আবেদন চেয়েছিলেন বাড়ির কাছে। স্কুল তা দেয়নি। আদালতের নির্দেশও মানেনি। তাই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির হতে বলেছেন বিচারপতি।" আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রাম রেয়াপাড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আদালতের নির্দেশ মেনে চলেননি। সেই কারণে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই প্রধান শিক্ষক মুচলেকা দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন আদালতের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement