চটের বস্তা বেচে কেনা হবে থালা

বস্তাই এই বার স্বাস্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার। কলকাতা পুরসভার স্কুলে মিড-ডে মিলের চাল-ডাল আসে চটের বস্তায়। খালি হওয়ার পরে পুরসভার গুদামেই পড়ে নষ্ট হত সেগুলি।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৩৯
Share:

বস্তাই এই বার স্বাস্থ্য উদ্ধারের হাতিয়ার। কলকাতা পুরসভার স্কুলে মিড-ডে মিলের চাল-ডাল আসে চটের বস্তায়। খালি হওয়ার পরে পুরসভার গুদামেই পড়ে নষ্ট হত সেগুলি। অন্য দিকে, দুঃস্থ পরিবার থেকে আসা শিশুরা মিড-ডে মিল খেতে বাড়ি থেকে যে থালা আনে, তার অধিকাংশই থাকে অপরিষ্কার। এ বার তাই দীর্ঘদিন ধরে গুদামে পড়ে থাকা হাজার হাজার বস্তা বেচে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ার থালা কিনতে উদ্যোগী পুর-প্রশাসন। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বস্তা বিক্রি করে ৪২ হাজার টাকা আয় করেছে পুরসভা।

Advertisement

পুর শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে এসে বস্তা বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নেন মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বস্তাগুলো তো পড়ে থেকে নষ্ট হতে। তাই বিক্রির কথা ভাবা হয়। সেই মতো পুর-প্রশাসনের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সম্মতি মিলতেই বিক্রি করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য স্কুলপড়ুয়াদের বাড়ি থেকে থালা আনতে বলা হয়। স্কুলে যে বাচ্চারা আসে তাদের অনেকেই ফুটপাথে বাস করে। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘স্কুল পরির্দশনে গিয়েও দেখেছি অনেক বাচ্চার আনা থালা অপরিষ্কার এবং অস্বাস্থ্যকরও। সে সব দেখেই বস্তা বিক্রির টাকায় তাদের জন্য থালা কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

কিন্তু এত দিন সে দিকে নজর দেওয়া হয়নি কেন?

Advertisement

এর কোনও জবাব অবশ্য দেননি অভিজিৎবাবু। শুধু বলেছেন, ‘‘কে কী করেননি, তার ব্যাখ্যা দেওয়া আমার কাজ নয়। এখন আমার মনে হয়েছে, পড়ুয়াদের জন্য এটা করা দরকার। তাই করেছি।’’ এ বার থেকে বস্তা বিক্রির টাকায় সবক’টি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য থালা কেনা হবে বলে তিনি জানান। পুরসভার শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ের বস্তা বিক্রির টাকায় প্রায় ৬০০ থালা কেনার জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement