বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে পরাজয়ের পর রাজ্য সভাপতির পদ খুইয়েছেন দিলীপ। তার পর দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তিনি। এখন দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেলেও, আগের মতো আর অতটা ব্যস্ত নন বলেই কি সিনেমা দেখতে এলেন?
নন্দনে সিনেমা দেখতে গেলেন দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
তিন বছর পর প্রেক্ষাগৃহে গেলেন। সিনেমা দেখলেন। হাততালি দিলেন। বন্দেমাতরম ধ্বনি তুললেন। সঙ্গে বিরোধীদের নিশানাও করলেন। শুক্রবার নন্দনে ‘বিনয়-বাদল-দীনেশ’ সিনেমা দেখতে গিয়ে এমনই মেজাজে দেখা গেল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে পরাজয়ের পর রাজ্য সভাপতির পদ খুইয়েছেন দিলীপ। তার পর দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তিনি। এখন দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেলেও, আগের মতো আর অতটা ব্যস্ত নন বলেই কি সিনেমা দেখতে এলেন? জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘আগে প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম ঠিকই। তবে সেটাই একমাত্র কারণ নয়। তিন বছর আগে শেষ বার প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে এসেছিলাম। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে নিয়ে ছিল ওই সিনেমা। সেটাই শেষ। এখন শুনলাম বিনয়-বাদল-দীনেশের নামে সিনেমা হয়েছে। তাই ইচ্ছা হল। নির্মাতারাও ডেকেছেন। তাই চলে এলাম।’’
সিনেমার একাধিক দৃশ্যে বন্দেমাতরম ধ্বনি রয়েছে। সেই সংলাপের সঙ্গে তাল মেলাতে দেখা গেল দিলীপকেও। তিন ‘বিপ্লবী’র মুখে ওই স্লোগান ফুটে উঠতেই তিনিও বলে ওঠেন, ‘‘বন্দেমাতরম।’’ রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানের দৃশ্যে একের পর এক গুলি যখন ব্রিটিশ পুলিশের বুকে চিরে বেরিয়ে যাচ্ছে, প্রেক্ষাগৃহে অন্যদের মতো তখন হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। সিনেমা শেষে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান প্রজন্মকে বিপ্লবী আন্দোলন প্রায় ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম সিনেমা করার সাহস কেউ করেননি। খুব ভাল সিনেমা হয়েছে।’’
তিনি রাজনৈতিক নেতা। রাজনীতি নিয়েই তাঁর চর্চা। ফলে সিনেমা দেখতে এসেও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টানলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে যাঁরা রাজনীতি করেছেন তাঁদের নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু যাঁরা সত্যিকারের নায়ক তাঁদের কথা কেউ সে ভাবে বলে না!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ক্ষমতায় থেকে নেহরু, গাঁধী ছাড়া কাউকে দেখাতে চায়নি কংগ্রেস। তার পরে বামেরা তো চায়নি আসল বিপ্লবীরা সামনে আসুক। এখন এই ধরনের সিনেমা হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।’’ তবে তৃণমূল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ।