দিলীপ ঘোষ।—ছবি পিটিআই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের জন্য দিলীপ ঘোষের উপরেই আস্থা রাখলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তাঁর নানা রকম অশোভন এবং আগ্রাসী মন্তব্য নিয়ে দলের একাংশ প্রশ্ন তুললেও সভাপতি পদে তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, লোকসভা ভোটে দিলীপবাবুকে সভাপতি রেখেই দল ১৮টি আসন পেয়েছে বলে পুর এবং বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকেই রাজ্য দলের শীর্ষ পদে রাখা হল। তা ছাড়া, দিলীপবাবুর গত চার বছরের সভাপতিত্বে দেখা গিয়েছে, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে নস্যাৎ করে নিজের অবস্থানে অনড় থেকে এগিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে ফের রাজ্য সভাপতি করে নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর এই পিছিয়ে না আসার মানসিকতাকেও ‘মান্যতা’ দিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দিলীপবাবুও দ্বিতীয় বার সভাপতি হয়ে বললেন, ‘‘কর্মীদের রক্ত-ঘামের জোরে দল এগিয়েছে। আমরা ১৮টা লোকসভা কেন্দ্র, ৮ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত জিতেছি। প্রায় এক কোটি সদস্য করেছি। তাঁদের সকলকে নিয়ে লড়াই করে ২০২১-এর বিধানসভা ভোট জিতব। এটাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা বাংলাকে দুর্নীতি ও হিংসামুক্ত গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দেব। দলের কর্মীদের নিয়ে মহাভারতের যুদ্ধ শেষ হবে সে দিন, যে দিন আমাদের সরকার রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক ক্ষেত্রে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।’’ নিজের ‘আগ্রাসী’ মন্তব্যের পক্ষেও দিলীপবাবু এ দিন ফের যুক্তি দেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষের কাছে কেউ যেন মিষ্টি মিষ্টি কথা আশা না করে। আমার অনেক কথা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, এখনও হচ্ছে। যাঁদের সময় কাটে না, তাঁরাই এ সব করেন।’’ আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হওয়া কর্মীদের ভূমিকার কথা বলতে বলতে অশ্রুরুদ্ধ হয়ে যায় দিলীপবাবুর স্বর।
জাতীয় গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে এ দিন তাঁর নাম ঘোষণার পরে দিলীপবাবুর হাতে শংসাপত্র তুলে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও।