তথাগতকে কটাক্ষ এ বার দিলীপের ফাইল চিত্র
তথাগত রায়কে এক হাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালেই টুইট করে দল ছাড়ার জল্পনা উস্কে দেন তথাগত। তা নিয়ে ‘পাগলা দাশু’-র সংলাপ উদ্ধৃত করে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এ বার একই বিষয়ে তথাগতকে বিঁধলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘উনি দলে থাকতেই বা পার্টির কী লাভ হয়েছে, আমার তো জানা নেই।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘উনি কী করবেন, তা ওঁর সিদ্ধান্ত। ওঁকে নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই। আমি আমার দল এবং দলের কর্মীদের নিয়ে ভাবি।’’
শনিবার সকালে টুইটে তথাগত লেখেন, ‘আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!’ এর পরই রাজনৈতিক মহলে তথাগতের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। সংবাদমাধ্যমে এই টুইট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথাগত বলেন, ‘টুইটে যা লিখেছি, তার বাইরে একটিও কথা বলব না।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তা হলে কি আপনি দল ছাড়ছেন? উত্তরে তথাগত বলেন, ‘আমি টুইটে ‘আপাতত’ শব্দটি লিখেছি। এর থেকে বেশি আর কিছু বলব না।’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপের জবাব, ‘‘উনি একটা সময় পার্টি করতেন। তখন আমি দলের দায়িত্বে ছিলাম না। এর পর আমি যখন দায়িত্বে আসি, উনি তখন রাজ্যপাল। ফলে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। আর এখন উনি কী করছেন, তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। উনি থেকেই বা কী লাভ হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, কুণাল ঘোষের কটাক্ষের জবাব টুইটেই দিয়েছেন তথাগত। কুণাল শনিবার সকালে লেখেন, ‘বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এ এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি। তিনি যে দক্ষতায় দর্শককে হাসাতেন, তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবেন। পাগলা দাশুর নাটকে 'আবার সে এসেছে ফিরিয়া'-র মত সংলাপের অপেক্ষায় থাকব। তবে কামিনী অংশ বাদ দিলেও কাঞ্চন অংশে সিবিআই, ইডির তদন্তের দাবি থাকলই।’ এর জবাবে তথাগতের টুইট, ‘সারদা চুরির মামলায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার দাবি করে বহু কাল জেলে। তাই এখন কোথায়, কী ভাবে আছেন, তা নিয়ে একটু কনফিউশন ছিল। জামিনে খালাস আছেন জেনে ভালো লাগল।’