বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন তথাগত রায়।
নাক-মুখ মাস্কে ঢেকে ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ছ’ফুট দূর থেকে বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন তথাগত রায়। তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তথাগত।
দিলীপের গাড়ির চালক, তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশের গাড়ির চালক এবং এক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী আক্রান্ত হওয়ায় দিলীপ এখন বাড়িতে কোয়রান্টিনে আছেন। এ দিন তাঁর আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী এবং বাড়ির অন্য দুই কর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে দিলীপের সঙ্গে দেখা করা কি ঝুঁকিপূর্ণ হল না? তথাগত বলেন, ‘‘মাস্ক, গ্লাভস পরে স্যানিটাইজ়ার হাতে মেখে ঢুকেছি। ছ’ফুট দূর থেকে কথা বললে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’ দু’জনে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, তখন তাঁদের মধ্যে দূরত্ব কমই ছিল।
সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, ‘‘তথাগতবাবু দলীয় রাজনীতিতে ফিরলে দল শক্তিশালী হবে।’’ সেই সঙ্গেই অবশ্য তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘বিজেপি কোনও রাজ্যেই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরে নির্বাচন লড়ে না। এ রাজ্যেও কাউকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা না করলে জিততে অসুবিধা হবে না।’’ রাজ্য বিজেপির নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মাস দেড়েক ধরে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ-শিবিরের ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে চর্চা হয়েছে। মুকুল এবং দিলীপ অবশ্য আগাগোড়াই জানিয়েছেন, দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এখন মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব শেষ করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রাজ্য রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হতে চাওয়ায় দলে ‘তৃতীয় পক্ষ’ তৈরি হল বলে অনেকে মনে করছেন। দিলীপ অবশ্য এ দিন ফের বলেন, ‘‘নেতৃত্বের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে, এটা যাঁদের হজম হচ্ছে না, তাঁরাই এ সব অপপ্রচার করছেন।’’
রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন সোমবার রাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। শোভন কি বিজেপিতে সক্রিয় হবেন? দিলীপ এ দিন বলেন, ‘‘আমরা চাই, শোভনবাবু সক্রিয় হোন। ওঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের দলে কাজে লাগবে।’’