প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল রেশন কার্ড ছিল না। ছিল পুরোনো কাগজের রেশন কার্ড। তা সঙ্গী করে আবেদনে করে মিলেছিল স্পেশ্যাল কুপন। তার বিনিময়ে খাদ্য সামগ্রী মিলেছিল আমজনতার। এ বার সেই স্পেশ্যাল কুপনের পরিপ্রেক্ষিতে মিলবে ডিজিটাল রেশন কার্ড। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। সেক্ষেত্রে করণীয় স্থির করে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব জেলাশাসকের কাছে। কলকাতা পুর কমিশনারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। স্পেশ্যাল কুপনের বিনিময়ে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে চায় তারা। কোভিড - ১৯ আবহ আর লক ডাউন পর্বে আমজনতার মুখে অন্ন তুলে দিতে এই স্পেশ্যাল কুপনের ব্যবস্থা করেছিল খাদ্য দফতর। ফলে কুপন প্রাপকদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক তথ্য দফতরের কাছে রয়েছে। তা যাচাই করবেন দফতরে কর্মী-আধিকারিকরা। রেশন কার্ড পাওয়ার সব শর্ত পূরণ থাকলে সংশ্লিষ্ট স্পেশ্যাল কুপন প্রাপক ডিজিটাল রেশন কার্ড পাবেন। তাঁর কার্ড রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২'র অন্তর্ভুক্ত হবে।
স্পেশ্যাল কুপনের মাধ্যমে মে ও জুন মাসে রেশন থেকে খাদ্য সামগ্রী তোলা ব্যক্তিদের বিষয়টি প্রথমে যাচাই করবেন কর্মী-আধিকারিকরা। সেই প্রক্রিয়া আগামী ২৫ জুলাইয়ে শেষ করতে হবে বলে জেলাগুলিতে পাঠানো নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে খাদ্য দফতর। এক্ষেত্রে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কার্ডের অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। গত ৩০ জুনের মধ্যে যে সব স্পেশ্যাল কুপন প্রাপক খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করেননি, তাঁদের বিষয়টি দ্বিতীয় ধাপে খতিয়ে দেখবে দফতর। এক্ষেত্রে যাচাই, অনুমোদনের কাজ আগামী ১৪ অগস্টের মধ্যে ইতিবাচকভাবে যাতে শেষ করা যায়, তা দেখার জন্য সোমবার জেলায় পাঠানো নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছে খাদ্য দফতর। জুলাই মাসে দফতরের পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আরও কিছু স্পেশ্যাল কুপন প্রাপকের তথ্য। এক্ষেত্রে যাচাই করে অনুমোদন প্রক্রিয়া সমাপ্তির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৫ অগস্ট।
২৪ জুনের পরে স্পেশ্যাল কুপনের আবেদন গ্রহণ হয়নি। তাই কাগজের রেশন কার্ড রয়েছে। কিন্তু স্পেশ্যাল কুপন নেই। এক্ষেত্রে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আমজনতা। অনলাইনে জমা পড়া আবেদন যাচাই করে অনুমোদনের কাজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করবেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তেমনই নির্দেশিকা খাদ্য দফতরের।
কাগজের রেশন কার্ড কিংবা স্পেশ্যাল কুপন পাননি যাঁরা, তাঁরা কিভাবে রেশন কার্ড পেতে পারেন, তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। অভিযোগ, স্পেশ্যাল কুপনের আবেদনপত্র প্রাপ্তি রাজনৈতিক 'প্রভাব' মুক্ত হয়নি। ফলে তাঁদের রেশন কার্ড প্রাপ্তির ভবিষ্যত প্রশ্নবিহীন নয় বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, "সকলের জন্য খাদ্যের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই বক্তব্য কার্যকরী করতে সব রকম সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। সবাই যাতে রেশন কার্ড পান, তা খাদ্য দফতরের দেখা উচিত।"